ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পাঁয়তারা করছে সরকার
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বক্তব্য রাখছেন রিজভী
সরকার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচি রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পাঁয়তারা করছে।
রোববার দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে বিএনপি
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতারা বিচার বিভাগের ওপর ন্যক্কারজনক আক্রমণ করে যাচ্ছেন। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেআইনিভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বৈঠক করে চাপ প্রয়োগ করছেন। তাতেও যখন তারা ব্যর্থ হয়েছেন, এখন তারা রাষ্ট্রপতিকে ব্যবহার করে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ ও সংশোধনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পাঁয়তারা করছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগ এবং সংসদে বিল এনে এই অনুচ্ছেদ সংশোধনের যে কোনো অপচেষ্টা সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা মনে করি, সরকারের এই উদ্যোগ উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে সবার জন্য।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীনে নিয়ে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে রাখা। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ও দুইজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি যেভাবে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে দেশে ও দেশের বাইরে ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে কাজ করছেন। সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ নিয়ে আওয়ামী সমর্থকরা যে ধরনের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তাতে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, উনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, উনি যেন তার নেত্রী ও তার নেতৃবৃন্দকে বলেন, প্রতিহিংসার যে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছেন, এটা বন্ধ করলে আমার মনে হয় আর সমাজে কোনো ধরণের প্রতিক্রিয়া, তিক্ততা থাকবে না। রাজনীতির যে পরিবেশ সেটা অনেকটাই স্বাভাবিক ও সুন্দর হয়ে যাবে, রাজনীতিতে সুবাতাস বইতে শুরু করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, ফরহাদ হোসেন ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ ও মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment