ধর্মগুরুর পালিত কন্যা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’
দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান এখন হরিয়ানা পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড। রাজ্য পুলিশের করা মোট ৪৩ জনের হিট লিস্টে শীর্ষে আছেন হানিপ্রীত। রাম রহিমের সাজা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পলাতক হানিপ্রীত।
২৫ আগস্টের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন হানিপ্রীত ইনসান। মোস্ট ওয়ান্টেড হানিপ্রীতের খোঁজে হরিয়ানাসহ ভারতের সব রাজ্যেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহ করছে, লুকিয়ে নেপালে পালিয়ে গেছেন হানিপ্রীত। প্রচারিত কিছু ছবি দেখে পুলিশ ধারণা করছে, ডেরা থেকে ‘বোরকা বা মুখোশ’ পরে পালিয়েছেন বাবার পালিত কন্যা। তবে নেপালের ঠিক কোথায় তিনি লুকিয়ে আছেন, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলছে না।
হরিয়ানা পুলিশের তৈরি করা তালিকার শীর্ষে আছে হানিপ্রীত ইনসানের নাম। ৪৩ জনের ওই তালিকায় একমাত্র নারী হিসেবে একেবারে প্রথমে রয়েছে এই পালিতা কন্যার নাম। আর যাদের নাম আছে, তাদের বেশির ভাগই তরুণ। হানিপ্রীত ছাড়া ডেরা মুখপাত্র আদিত্য ইনসানের নামও রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়। এর আগে হানিপ্রীত ও আদিত্যর নামে লুক আউট নোটিশও জারি করে হরিয়ানা পুলিশ।
২৫ আগস্টের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন হানিপ্রীত ইনসান। মোস্ট ওয়ান্টেড হানিপ্রীতের খোঁজে হরিয়ানাসহ ভারতের সব রাজ্যেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহ করছে, লুকিয়ে নেপালে পালিয়ে গেছেন হানিপ্রীত। প্রচারিত কিছু ছবি দেখে পুলিশ ধারণা করছে, ডেরা থেকে ‘বোরকা বা মুখোশ’ পরে পালিয়েছেন বাবার পালিত কন্যা। তবে নেপালের ঠিক কোথায় তিনি লুকিয়ে আছেন, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলছে না।
হরিয়ানা পুলিশের তৈরি করা তালিকার শীর্ষে আছে হানিপ্রীত ইনসানের নাম। ৪৩ জনের ওই তালিকায় একমাত্র নারী হিসেবে একেবারে প্রথমে রয়েছে এই পালিতা কন্যার নাম। আর যাদের নাম আছে, তাদের বেশির ভাগই তরুণ। হানিপ্রীত ছাড়া ডেরা মুখপাত্র আদিত্য ইনসানের নামও রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়। এর আগে হানিপ্রীত ও আদিত্যর নামে লুক আউট নোটিশও জারি করে হরিয়ানা পুলিশ।
মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকার প্রত্যেকের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েব পোর্টালেও দেওয়া হয়েছে।
আদালত গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণ করার দিন আদালত চত্বর থেকে তাঁকে নিয়ে পালানোর ছক করেছিলেন হানিপ্রীত। কিন্তু সে পরিকল্পনা সফল হয়নি। এরপর থেকে হানিপ্রীতের কোনো খোঁজ নেই পুলিশের কাছে। পরে লুকআউট নোটিশ জারি করে পুলিশ। এ ছাড়া ওই দিন সহিংস ঘটনা ঘটাতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ডেরার মুখপাত্র আদিত্য ইনসান ও ধীমান ইনসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধীমানকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদিত্য পলাতক।
রাম রহিমের নিত্য ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান। ‘বাবা’র ভক্তরা তাঁকে ‘বাবার দেবদূত’ বলে চেনেন ও মানেন।
হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা তানেজা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যাটাও অবাক করার মতো, পাঁচ লাখ। রাম রহিমের ভক্তরা অনেকেই মনে করেন, হানিপ্রীতের সিদ্ধান্তই তাঁর ‘বাবা’র সিদ্ধান্ত। পালিত কন্যা হলেও বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ। আর তাই খুব অল্প সময়েই তাঁর উত্থান। হিসারের ফতেহাবাদের এক সাধারণ ঘরে জন্ম প্রিয়াঙ্কার। ১৯৯৯-এ সিরসার এক ডেরা ভক্ত বিশ্বাস গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই রাম রহিমের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রিয়াঙ্কা থেকে তিনি পরিচিত হন হানিপ্রীত নামে। রাম রহিমই প্রিয়াঙ্কাকে এ নাম দেন।
রাম রহিমের নিত্য ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান। ‘বাবা’র ভক্তরা তাঁকে ‘বাবার দেবদূত’ বলে চেনেন ও মানেন।
হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা তানেজা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যাটাও অবাক করার মতো, পাঁচ লাখ। রাম রহিমের ভক্তরা অনেকেই মনে করেন, হানিপ্রীতের সিদ্ধান্তই তাঁর ‘বাবা’র সিদ্ধান্ত। পালিত কন্যা হলেও বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ। আর তাই খুব অল্প সময়েই তাঁর উত্থান। হিসারের ফতেহাবাদের এক সাধারণ ঘরে জন্ম প্রিয়াঙ্কার। ১৯৯৯-এ সিরসার এক ডেরা ভক্ত বিশ্বাস গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই রাম রহিমের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রিয়াঙ্কা থেকে তিনি পরিচিত হন হানিপ্রীত নামে। রাম রহিমই প্রিয়াঙ্কাকে এ নাম দেন।
রাম রহিমের ভক্তদের দাবি, ‘বাবা’র কাছে শ্বশুরবাড়ির পণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হানিপ্রীত। এরপরই নাকি ২০০৯ সালে হানিকে দত্তক নেন রাম রহিম। তখন থেকেই বাবার ছায়াসঙ্গী হানি।
তবে হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্তের অভিযোগ, তিনি কখনো স্ত্রী হানিপ্রীতের সঙ্গে থাকতে পারেননি। তাঁর স্ত্রী থাকতেন রাম রহিমের বিলাসবহুল ডেরায়। পালিত কন্যা বললেও হানির সঙ্গে রাম রহিমের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আর একদিন তিনি নিজ চোখে তা দেখেও ফেলেছিলেন।
গত ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেওয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকেরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত। এনডিটিভি ও ইকোনমিক টাইমস।
Source: http://mybangla24.com/prothomalo-bangla-newspaper.php
Post a Comment