নারীরা কি এক সপ্তাহে দুনিয়াকে বদলে দিতে পারে?
প্রেসিডেন্ট স্যারলিফ, পেগি উইলসন, এবং স্টেফ হটন |
বিবিসির 'ওয়ান হান্ড্রেড উইমেন' বা 'শত নারী' সিরিজের ৬০ জনের নাম এ পর্যন্ত ঘোষিত হয়েছে।
এর মধ্যে ছিলেন নাসা'র নভোচারী পেগি উইলসন, চিলির প্রেসিডেন্ট মিশেল বাশেলেট, এবং ইংল্যান্ডের ফুটবলার স্টিফ হটন। বাকি ৪০ জনের নাম যোগ করা হবে এই পর্বে অক্টোবর মাসে।
বার্ষিক এই সিরিজের লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী নারী সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর ওপর আলোকপাত করা, এবং দেখা যে এ বছর নারীরা পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন কিনা।
এই নারীদের মধ্যে আরো আছেন কবি রূপী কওর, এসিড আক্রমণ থেকে বেচে যাওয়া রেশম খান, এবং নৃত্যশিল্পী ও টিভি তারকা জিন শিং।
জিন শিং |
সমাজে নানা স্তরে হয়রানি, অসাম্য, পিছিয়ে পড়ার ঘটনা এত ঘটছে যে তাআপনার মন খারাপ করে দিতে পারে, মনে হতে পারে যে আপনার হয়তো কিই করার ক্ষমতা নেই।
কাজেই আমরা এ বছর নারীদের বলছি, তারা যেন অসাম্য-বৈষম্যের মোকাবিলা করতে উদ্ভাবনীমূলক কিছু করেন।
শত নারীর এটা পঞ্চম বছর। এ বছর দেখা হবে যে বিষয়গুলো - তার মধ্যে আছে অদৃশ্য দেয়াল, নারীর নিরক্ষরতা, রাস্তায় হয়রানি, এবং খেলাধূলায় পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রাধান্য।
'হান্ড্রেড উইমেন' কি?
বিবিসির শত নারীর লক্ষ্য হচ্ছে : প্রতি বছর এমন একশ' জন নারীর নাম ঘোষণা করা - যারা প্রভাবশালী এবং অনু্রেরণার উৎস। এ যুগে নারীদের জন্য সবচেয়ে বড় পাঁচটি বাধা হচ্ছে: গ্লাস সিলিং (কাচের ছাদ, অদৃশ্য বাধা অর্থে), নারীদের নিরক্ষরতা, পাবলিক স্পেস বা প্রকাশ্য স্থানে নারীদের হয়রানি, এবং খেলায় পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রাধান্য।
আপনাদের সাহায্য নিয়ে তারা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা সম্ভবএমন সমাধান নিয়ে আসবেন। আমরা এটাও চাইবো যে আপনি আপনার ভাবনা বা আইডিয়াগুলো নিয়ে এর সাথে জড়িত হবেন।
আমাদের পাবেন ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম, আর টুইটারে । ব্যবহার করুন #100Women এই হ্যাশট্যাগটি।
শত নারীর তালিকায় আছেন এমন অনেকে অক্টোবর মাসের চার সপ্তাহে চারটি শহরে এক সাথে কাজ করবেন। তারা এমন কিছু উদ্ভাবনী কাজ করবেন যা সমস্যায় পড়া লোকদের সহায়তা করবে।
অন্যরা বিশ্বের নানা স্থান থেকে এতে সমর্থন-সহযোগিতা দেবেন।
সপ্তাহ জুড়ে শেষ ৪০টি নাম যুক্ত হবে, এবং আরো বেশি করে নারী এর সাথে জড়িত হবেন।
স্যান ফ্রানসিসকো |
এই চ্যালেঞ্জে যদি সাফল্য আসে তাহলে তা এ জন্যই আসবে যে এ সমস্যাগুলো এবং তাদের গুরুত্ব বুঝতে সারা দুনিয়ার নারীরা ভুমিকা রাখবেন।
তারা নিজেরা নানা রকমের ভাবনা বা আইডিয়া নিয়ে আসবেন।
তবে এতে শুধু আইডিয়া নয়, রেডিও, অনলাইন এবং সামাজিক মাধ্যমে শত নারী সংলাপেও যোগ দেবেন।
গ্লাস সিলিং চ্যালেঞ্জ হবে সান ফ্রানসিসকোতে। নারী নিরক্ষরতা চ্যালেঞ্জ হবে ভারতের দিল্লিতে ।
রাস্তায় হয়রানি চ্যালেঞ্জের ভিত্তি হবে লন্ডন, তবেএতে সহযোগিতা করবে নাইরোবির একটি দল। খেলাধূলায় পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার চ্যালেঞ্জ হবে রিও ডি জেনেইরোতে।
তবে এ নিয়েআলোচনা হবে সারা দুনিয়া জুড়ে -এবং আমরা চাই সারা দুনিয়ার নারীদের কথা শুনতে।
Source: http://www.bbc.com/bengali/news-41406922
Post a Comment