Header Ads

test

শত কোটি টাকার শাড়ি কিনেও নারীদের খুশি করা যায়নি

নারী
নারীদের বলা হয়েছিল হস্তশিল্পের শাড়ি দেয়া হবে তাদের।
উৎসবকে সামনে রেখে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের গরীব নারীদের শাড়ি দেয়ার একটি স্কিম চালু আছে। কিন্তু এবার সরকারের এমন স্কিমে বাধা পড়েছে।
বিনামূল্যে পাওয়া এসব শাড়ি 'নিম্ন মানের' বলে সেগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছে নারীরা।
"এ শাড়ি চারদিনের বেশি টিকবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে" শাড়ি হাতে নিয়ে বিবিসির তেলেগু সার্ভিসকে বলছিলে গঙ্গা।
যেসব নারী এসব শাড়ি পেয়েছে তারা বলছে সরকার যে ধরনের শাড়ি দেবার কথা ছিলো সে ধরনের শাড়ি এগুলো নয় এবং খুবই নিম্ন মানের শাড়ি তাদের দেয়া হচ্ছে।
আর সরকার এই শাড়ি কেনার প্রকল্পে এক কোটি শাড়ি কিনতে খরচ করেছে প্রায় ২২২ কোটি টাকা।
স্থানীয় 'বথুকাম্মা' উৎসব উপলক্ষে বিনামূল্যে শাড়ি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
যদিও 'নিম্নমানের শাড়ি'র অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে এগুলো ভালো মানের শাড়ি।
তবে বিরোধী দলগুলো বলছে 'শাড়ি কেলেঙ্কারির' এই ঘটনা খতিয়ে দেখা উচিত। তারা বলছে, এভাবে শাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার বিষয় প্রমাণ করে যে, সরকার প্রত্যেক শাড়ির জন্য যে অর্থ নির্ধারণ করেছে সে তুলনায় তারা কম খরচ করেছে।
শাড়ি পোড়াচ্ছে নারীরা
নারীরা যে শাড়ি পোড়াচ্ছে এমন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে রাজ্যের হস্তশিল্পের কারিগরদের কাছ থেকেই শাড়ি কিনে এবার সেগুলো বিতরণ করা হবে। তবে সময়মতো সব শাড়ি পাওয়া যাবে না সেটা বুঝতে পেরে অন্য শাড়ি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
"তারা বলছে এগুলো হ্যান্ডলুম শাড়ি কিন্তু এগুলোতো তা নয়" পদ্মা নামের একজন বলছিলেন।
নারীরা যে ক্ষুব্ধ হয়ে শাড়ি পোড়াচ্ছে এবং বলছে 'এসব সস্তা শাড়ি কে পড়বে' সে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে সরকার অভিযোগ করছে এসবের পিছনে রয়েছে বিরোধী দল। কারণ শাড়ি পোড়ানো ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে যায় না।
তবে নিম্নমানের এ শাড়ি নিয়ে কিছু নারী খুশিও হয়েছেন অবশ্য।
"এটার দাম হয়তো ৭০ বা ৭৫ রূপী। কিন্তু আমি খুশি কারণ এটা বিনামূল্যে পেয়েছি" বলছিলেন সাবিত্রি।
শাড়ি
কর্তৃপক্ষ বলছে তারা এক কোটিরও বেশি শাড়ি ক্রয় করেছে।
Source: http://mybangla24.com/bbc-bangla-news.php

No comments

Thanks for your valuable comment!