Header Ads

test

উত্তর কোরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে চীন

উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে চীন এ পদক্ষেপ নিচ্ছে। ১২ সেপ্টেম্বরে আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার ১২০ দিনের মধ্যেই কোম্পানিগুলো বন্ধ করা হবে।

বিদেশে চীন-উত্তর কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। তবে এগুলো কখন বন্ধ করা হবে তা জানানো হয়নি।

উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ চীন এরই মধ্যে দেশটির সঙ্গে বস্ত্র বাণিজ্য বন্ধ করেছে এবং তেল রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ষষ্ঠবারের মতো সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করার পর দেশটির বিরুদ্ধে বিরূপ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার মুখে চীন এ পদক্ষেপ নেয়।

গত ১২ সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার ওপর সর্বস্মতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

উত্তর কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাষ্ট্র। দেশটির বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্যই চলে আসছে চীনের সঙ্গে।

চীন সেই আদ্দিকাল থেকে উত্তর কোরিয়াকে সুরক্ষা দিয়ে আসলেও দেশটির পারমাণবিক পরীক্ষা এবং বাড়তে থাকা বাকযুদ্ধের তীব্র সমালোচনা করেছে।

এবছরের শুরুর দিকে চীন উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা নেওয়া বন্ধ করাসহ সামুদ্রিক খাবার এমনকি লৌহ বাণিজ্যও নিষিদ্ধ করেছে। চীন বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বস্ত্র বাণিজ্য বন্ধ করায় দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে এসেছে।

বেপরোয়াভাবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে চাপের মুখে রয়েছে চীন। ট্রাম্প সময়ে সময়ে উত্তর কোরিয়া নিয়ে যেমন চীনের প্রশংসা করেছেন তেমনি নিন্দাও করতে ছাড়েননি।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তুমুল বাকযুদ্ধ চলছে। দু’দেশের নেতাই একে অপরকে ‘পাগল’ আখ্যা দিচ্ছেন। দিচ্ছেন সামরিক হামলার হুমকিও।

চীন এ পরিস্থিতিতে দুপক্ষকেই সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেছেন, “আমরা কোরিয়া উপদ্বীপে কোনওরকম যুদ্ধের বিপক্ষে।”

Source: http://bangla.bdnews24.com/world/article1401039.bdnews

No comments

Thanks for your valuable comment!