Header Ads

test

হরিণের মাংসের কেজি ৪শ’ টাকা, বিক্রি হয় আগাম অর্ডারে!

হরিণের মাংসের কেজি ৪শ’ টাকা, বিক্রি হয় আগাম অর্ডারে!
ফাইল ছবি
খুলনার দাকোপ উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবনে অবাধে ফাঁদ পেতে নানা কৌশলে হরিণ শিকার চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে হরহামেশাই। জানা গেছে, প্রতি কেজি মাংস ৪শ’ টাকায় বিক্রি হয়। এর আগে ক্রেতাদের কাছ থেকে আগাম অর্ডার নেওয়া হয়।
 
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা উপজেলার সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, কালিনগর, কামারখোলা, কৈলাশগঞ্জ, রামনগর, বানিশান্তা, ঢাংমারী ও লাউডোব এলাকার চিহ্নিত বেশ কয়েকটি হরিণ শিকারী চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে, আবার কখনো এদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে সুন্দরবনে ঢুকে শিকারীরা লম্বা ফাঁদ বনের ভিতর টাঙ্গিয়ে খুব সহজেই হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসে। পরে বিভিন্ন এলাকার অগ্রিম অর্ডার দেওয়া লোকজনের নিকট কেজি প্রতি ৪শ টাকায় নগদ বা বাকিতে মাংস বিক্রি করে থাকে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযানে হরিণের মাংস ও চামড়াসহ এসব শিকারী চক্রের দুই একজন সদস্য ধরা পড়লেও থেমে নেই হরিণ শিকার। আবার ধরা পড়া দুই একজন ব্যক্তিকে প্রশাসন ছেড়ে দিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি এ সকল শিকারি চক্রের কাছ থেকে হরিণের মাংসসহ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করায় হরিণ নিধনের প্রবণতা বাড়ছেই। এভাবে চললে আগামীতে বনের হরিণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পশ্চিম বনবিভাগের নলিয়ান রেঞ্জের এসিএফ মো. সোয়েব আলী বলেন, এখানে প্রভাবশালী একটি চক্র এ হরিণ শিকারের সাথে জড়িত। তারপরও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
 
দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, হরিণ শিকারের সাথে যারা জড়িত তারা ধরা পড়লে মামলা দিয়ে আসামিদের হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে।
 
৩৬ কেজি মাংস উদ্ধার : সূত্র জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের চরের খাল এলাকা থেকে শিকারিরা হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় গাগড়ামারী টহল ফাঁড়ির বন প্রহরিদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাংস ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩০ কেজি মাংস পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টহল দল।
 
এছাড়া গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় নলিয়ান নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুতারখালী এলাকার আব্দুল গফুর সরদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘর থেকে ৬ কেজি হরিণের মাংসসহ ঘটনায় জড়িত তার ছেলে জুলফিকার সরদার জুলুকে (৪৬)  আটক করে। দুটি ঘটনায়ই মামলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
 
ইত্তেফাক/এমআর
Source: http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2017/09/22/128306.html

No comments

Thanks for your valuable comment!