Header Ads

test

পাকিস্তানের যে দ্বীপে কেবল কুকুর থাকে

জেলেদের দেয়া খাবারেই বেঁচে আছে কুকুরগুলো
জেলেদের দেয়া খাবারেই বেঁচে আছে কুকুরগুলো
পাকিস্তানের করাচীর উপকূলীয় এক দ্বীপে অনেক বছর ধরে বাস করছে কিছু মালিকবিহীন কুকুর। যাদের কারণে দ্বীপের নাম হয়েছে ডগ আইল্যান্ড বা কুকুর দ্বীপ।
দ্বীপটিতে এখনো জনবসতি গড়ে ওঠেনি। অস্থায়ী ভিত্তিতেও কেউ সেখানে থাকে না। এর বাসিন্দা কেবল কুকুরগুলো।
উপকূলের কাছে দ্বীপটিতে দিনভর ঘুরে বেড়ায় কুকুরগুলো। সেখানে নিয়মিত মাছ ধরেন এমন জেলেরা কুকুরগুলোর দেখাশোনা করেন।
এদের একজন মুনির বলছেন, কুকুরগুলোর দেখভাল করার কেউ নেই বলে তিনি প্রায়ই ওদের দেখাশোনা করেন।
চারিদিকে কেবল লবণাক্ত পানি, ফলে এরা খাওয়া বা পান করার জন্য কিছুই পায়না। দ্বীপে মানুষের আগমন টের পেলে কুকুরগুলো দল বেধে কাছে আসে খাবারের আশায়।
কুকুরগুলো কিভাবে প্রথম এ দ্বীপে এসেছিলো, তা পরিষ্কার জানা যায়না। তবে স্থানীয় জেলেরা বলছেন বেশ কয়েক দশক ধরেই এ দ্বীপে তারা কুকুরের দল ঘুরে বেড়াতে দেখছেন।
কেউ কেউ বলেন এগুলো আসলে বিদেশী নাবিকদের ছেড়ে দেয়া কুকুর। আবার কেউ কেউ বলেন শহর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থান থেকে বেওয়ারিশ কুকুর ধরে এ দ্বীপে ফেলে যায় রাতের অন্ধকারে।
অথচ দ্বীপটিতে নেই কোন পরিষ্কার পানি কিংবা খাবার। আর সে কারণেও পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জেলেদের অনেকে কুকুরগুলোকে পানি বা খাবার দিয়ে যান নিয়মিতই।
জেলে মুনিরের বিশ্বাস কুকুরগুলোকে খাওয়ালে সৃষ্টিকর্তা তাকে এজন্য পুরস্কৃত করবেন। ওদের খাওয়ালে আল্লাহ তারও খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
"আমাদের নৌকা দ্বীপের কাছে আসতে দেখলেই কুকুরগুলো ছুটে আসে। কারণ তারা জানে আমরা তাদের কিছু না কিছু দেবো।"
পাকিস্তানীদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বাস করেন কুকুর পরিচ্ছন্ন প্রাণী নয়, আর সে কারণে তাদের স্পর্শ করা উচিত নয়।
করাচী শহরে এমন হাজার হাজার কুকুর রয়েছে যাদের মূল পরিচয় তারা বেওয়ারিশ, তাই তাদের জন্য নেই কোন সুবিধা।
আরেকজন জেলে মুহাম্মদ বলছেন এসব কারণে জেলেরা অনেকেই বিশ্বাস করে এ দ্বীপের কুকুরগুলোর দেখাশোনার দায়িত্ব তাদেরই।
এখন পরিকল্পনা চলছে এই ডগ আইল্যান্ড বা কুকুরদ্বীপটিতে কিভাবে ঘরবসতি গড়ে তোলা যায়।
সেটি হলে এখানে হবে বড় ধরনের গৃহনির্মাণ প্রকল্প।
যদিও এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে পরিবেশবাদীদের মধ্যে।
যা নিয়ে বিরোধ চলছে জমির মালিকদের সাথে।
আর সে কারণেই এখনো পর্যন্ত কুকুরগুলোই এ দ্বীপের একমাত্র অধিবাসী।
Source: http://www.bbc.com/bengali/news-41396162

No comments

Thanks for your valuable comment!