Header Ads

test

সৌদি বাদশাহর কাছ থেকে যেসব উপহার পেলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব
প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌদি আরবেই প্রথম সফরে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল গিয়েছিলেন সৌদি আরবে আর যাওয়ার সময় উপহার হিসেবে সৌদি বাদশাহর জন্য তিনি নিয়েছিলেন একটি পারফিউম, যার মূল্য ছিলো একশ পাউন্ড।
তবে সফরে বাদশাহ তাকে যা উপহার দিলেন তাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চক্ষু চড়কগাছ, কারণ সোনার তৈরি তলোয়ার থেকে শুরু করে ডায়মন্ড রিং- সবই ছিলো তাতে।
এরপর দেশে ফিরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অর্ডার দিলেন তখন চলা বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে রোলস রয়েস ব্রান্ডের গাড়ি সৌদি বাদশাহকে পাঠাতে। সেটি কার্যকরও হলো সাত মাস পরেই।
এখনকার যুগেও রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের প্রথা রয়েছে বিশেষ করে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের অন্যদেশ সফরকালে।
অতিথি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে উপহার দিয়ে সম্মানিত করা এখন নিয়মিত ঘটনা।

এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিলো সৌদি আরব। সফরে তিনও ব্যাপক উপহার পেয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান এর কাছ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব
সরকারি কর্মকর্তারা নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামী উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেননা
কিন্তু কী ছিলো সেই উপহার তালিকায়?
জানা যাচ্ছে, বাদশাহর দেয়া এক গাদা উপহারের মধ্যে ছিলো বিভিন্ন ধরনের তলোয়ার, ছুরি, চামড়ার তৈরি বুলেট রাখার বেল্ট, কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার হোলস্টার, সোনার কারুকার্যময় পোশাক, মাথায় ব্যবহারের অনেকগুলো স্কার্ফসহ আরব ঐতিহ্যবাহী গার্মেন্ট, চামড়ার জুতো, পারফিউম ও শিল্পকর্ম।
আরাবিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলী শিহাবী বলছেন, উপহারগুলো খুব বেশি বিলাসী নয়।
"আগে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা চোখ ধাঁধানো দ্রব্যাদি যেমন দামী ঘড়ি, স্বর্ণালংকার উপহার হিসেবে দিতো। এখন আসলে স্থানীয় সংস্কৃতি কিংবা হাতে তৈরি ঐতিহ্যমন্ডিত শিল্পকর্ম দেয়া হয়"।
তবে সৌদি বাদশাহ শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই নয়, তাঁর সফরসঙ্গী সবাইকেই একই ধরনের উপহার দিয়েছেন।
তবে প্রেসিডেন্ট চাইলেই তার মন মতো উপহারগুলো নিজের কাছে রাখতে বা শিল্পকর্মগুলো তার অফিস বা বাসার দেয়ালে টাঙ্গাতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিদেশী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ৩৯০ ডলারের বেশি মূল্যমানের কোন উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন না যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কেউ।
তবে সরকারি কর্মকর্তারা বাজার মূল্যে সেটি কিনে নিতে পারেন যেমনটি করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন ২০১২ সালে।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মুক্তোর নেকলেস তিনি কিনে নিয়েছিলেন ৯৭০ ডলার দিয়ে।
Source: BBC Bangla (বিবিসি বাংলা) Online Newspaper Of Bangladesh
http://mybangla24.com/bbc-bangla-news.php

No comments

Thanks for your valuable comment!