Header Ads

test

পার্বত্য চট্টগ্রামকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার : সন্তু লারমা

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭,শুক্রবার, ২০:০২

পার্বত্য চট্টগ্রামকে সরকার বিশ্বের সেরা কারাগারে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জন সংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বৌধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আর  পার্বত্য চট্টগ্রাম নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বিশ্বের আর কোথাও এতবড় কারাগার নেই।
শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটিতে জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৭৮তম জন্ম বার্ষিকী আলোচনা সভায় সন্তু লারমা এ মন্তব্য করেন।
সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চুক্তিকে প্রতিনিয়ত লংঘন করে সরকার ঔপনেবেশিক কায়দায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন করছে। এতে করে অধিকার বঞ্চিত হয়ে পার্বত্য অঞ্চলের ১৪টি জাতিগোষ্ঠির জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। আজকে বাংলাদেশের সরকার শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠিকে পদদলিল করে তথা পার্বত্য অঞ্চলের জুম্মজনগণের দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অজিত যে অধিকার সেই অধিকার খর্ব করে চলেছে। যে কারণে আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে বাস্তবতা সেই বাস্তবতায় আমরা সুষ্ঠভাবে জীবন ধারণ করতে পারছে না। জুম্ম জনগণের পায়ের নিচে আজকে মাটি নেই। তাদের জীবন আজকে জাতিগত সম্প্রদায়গত অর্থনৈতিকগত তথা সকল প্রকারে শোষন-নিপীড়ন নির্যাতনে যাতাকলে নিষ্পেষিত হয়ে আছে। আজকে সেই বাস্তবতার কারণে আজ অবধি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২০ বছর অতিবাহিত হওয়ার সময়েও আমাদের বলতে হচ্ছে যে, আমরা এখনো পর্যন্ত আমাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার নুন্যতম বাস্তবতা অর্জন করতে পারিনি।
ভূমি অধিকার নিয়ে সন্তু লারমা বলেন, আজকে এখানে ভূমি অধিকার নেই। চুক্তি অনুযায়ী ভূমি অধিকার এখানে দেয়ার কথা। কিন্তু সরকার সেই ভূমি অধিকার এখনো জেলা পরিষদের মাধ্যমে জুম্মজনগণের কাছে দিয়ে দেয়নি। যে কারণে আজকে জুম্ম জনগণের পায়ে নিচে মাটি নেই, তার বসত-বাড়ি নেই, তাদের বসতভিটা নেই। তাদের বেঁচে থাকার জন্য এই পার্বত্য অঞ্চলে যে সহায় সম্পদ সেটা এখন অনেক দুরে। এ কারণে ভূমি নিয়ে অহরহ নানা ধরনের জুম্মস্বার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্র তার যে অপতৎপরতা এটা বিরাজমান। আজকে এখানে জুম্ম জনগণের অস্তিত্বকে বিলুপ্তি করার ষড়যন্ত্র। তাই এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন সংগ্রামে পাহাড়ী শিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
রাঙ্গামাটি শিল্পকলা একাডেমীতে সুবর্ণ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নেত্রী কল্পনা চাকমা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুন ত্রিপুরা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাধারণ  সম্পাদক সুমন মারমা বক্তব্য রাখেন।

Source:http://mybangla24.com/naya_diganta_bangla-newspaper.php

No comments

Thanks for your valuable comment!