উ. কোরিয়াকে ভয়াবহ সামরিক জবাবের হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
উত্তর কোরিয়া ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আর কোনো হুমকি দিলে ভয়াবহ সামরিক জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস।
রোববার দুপুরে উত্তর কোরিয়া ষষ্ঠবারের মতো শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়।
এর পরপরই ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি ছোট্ট গ্রুপ বৈঠকে বসে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে গুয়ামসহ যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো ভূমি, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রগুলিকে ভয় দেখানো হলে উত্তর কোরিয়াকে বড় ধরনের সামরিক জবাবের মুখোমুখি হতে হবে। আর এ জবাব হবে অত্যন্ত লক্ষ্যভেদী ও ভয়াবহ।
তিনি বলেন, কিম জং উনের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর অনুধাবন করা উচিত। পরিষদের সব সদস্য উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে একমত। আর কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক হুমকিমুক্ত করতে তাদের অঙ্গীকারের বিষয়ে এখনও বদ্ধপরিকর।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দেশকে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়াকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়ার পক্ষপাতী নই। তবে আমি আগেও বলেছি, তাদের জবাব দেয়ার জন্য আমাদের হাতে অনেক বিকল্প রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই স্পষ্ট করেছি, যে কোনো আঘাত থেকে নিজেদের এবং মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে রক্ষা করার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে, আর মিত্রদের প্রতি আমাদের ইস্পাত কঠিন অঙ্গীকার রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় রোববার বেলা ১২টার দিকে একটি হাউড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এতে দেশটির কিলজু প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই উত্তর কোরিয়ার প্রথম পারমাণবিক হামলা। স্বভাবতই এ ঘটনার পর ট্রাম্প প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
রোববার উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার সময় হোয়াইট হাউসসংলগ্ন একটি গির্জায় প্রার্থনারত ছিলেন ট্রাম্প।
সেখান থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত হওয়ার মতো সময় শেষ হয়ে গেছে। দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের হুমকি দেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালাবে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখছি।
Post a Comment