হিন্দুত্ববাদের সমালোচক সাংবাদিক গৌরীকে গুলি করে হত্যা
ভারতের বেঙ্গালুরুতে হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থার সমালোচক হিসেবে পরিচিত নারী সাংবাদিক গৌরি লংকেশকে নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বেঙ্গালুরুর রাজা রাজেশ্বরী এলাকার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কাজ শেষে বাড়ির সামনে পৌঁছে গাড়ির দরজা খুলে বাইরে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৌরিকে লক্ষ্য করে পরপর সাত রাউন্ড গুলি করে হামলাকারীরা। এরমধ্যে চারটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়, এর মধ্যে একটি তার কপাল ভেদ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি লুটিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার আর কে দত্ত জানান, গৌরিকে লক্ষ্য করে মোট সাতটি গুলি করা হয়। এরমধ্যে চারটি লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ঘরের দেয়ালে লাগে। বাকি তিনটি গুলি তাকে আঘাত করে। এরমধ্যে দুটি তার বুকে এবং একটি তার কপালে বিদ্ধ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫৫ বছরের গৌরিকে হত্যায় তিন ব্যক্তি অংশ নেয়। তবে তাকে কেন হত্যা করা হয়েছে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গৌরিকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তার বাড়ির সামনে ভিড় করে স্থানীয় সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের বিক্ষোভ দেখান।
ভারতের হিন্দুত্বাদী চরমপন্থী রাজনীতির কঠোর সমালোচক এ সাংবাদিককে হত্যার সঙ্গে তার হিন্দুত্ববাদ বিরোধী কাজের সম্পর্ক রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে প্রেসক্লাব অব ইনডিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, গৌরি ছিলেন নির্ভীক ও স্বাধীন সাংবাদিক, তিনি নানা বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন ও সব সময় ন্যায় বিচারের পক্ষে দাঁড়াতেন, কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিতেই তাকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত গৌরি কন্নড় ভাষার একটি পাক্ষিক ট্যাবলয়েড পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
এ পত্রিকায় গত বছর, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন গৌরী।
এরপর বিজেপির সংসদ সদস্য প্রহ্লাদ জোশির দায়ের করা এক মানহানির মামলায় সাংবাদিক গৌরিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
একই বছর ভারতীয় ওয়েবসাইট নিউজলন্ড্রিকে নিহত গৌরি বলেছিলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতে যারাই মানবাধিকারের সমর্থনে এবং গুলির করে বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মাওবাদী বলে অপবাদ দেয়া হয়।
এ দুই ইস্যু ছাড়াও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি এবং বর্ণাশ্রম প্রথার সমালোচনা করায় তাকে হিন্দুদের নিন্দাকারী আখ্যা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন গৌরি।
ভারতে ১৯৯২ সাল থেকে ২৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, যার জন্য জড়িত অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়নি বলে গত বছর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট।
ওই প্রতিবেদনে আরও ২৫ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়, যাদের মৃত্যুর নেপথ্যে তাদের সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট কাজের সম্পর্ক ছিল বলে তদন্ত চলছিল।
সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান
কাজ শেষে বাড়ির সামনে পৌঁছে গাড়ির দরজা খুলে বাইরে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৌরিকে লক্ষ্য করে পরপর সাত রাউন্ড গুলি করে হামলাকারীরা। এরমধ্যে চারটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়, এর মধ্যে একটি তার কপাল ভেদ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি লুটিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার আর কে দত্ত জানান, গৌরিকে লক্ষ্য করে মোট সাতটি গুলি করা হয়। এরমধ্যে চারটি লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ঘরের দেয়ালে লাগে। বাকি তিনটি গুলি তাকে আঘাত করে। এরমধ্যে দুটি তার বুকে এবং একটি তার কপালে বিদ্ধ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫৫ বছরের গৌরিকে হত্যায় তিন ব্যক্তি অংশ নেয়। তবে তাকে কেন হত্যা করা হয়েছে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গৌরিকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তার বাড়ির সামনে ভিড় করে স্থানীয় সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের বিক্ষোভ দেখান।
ভারতের হিন্দুত্বাদী চরমপন্থী রাজনীতির কঠোর সমালোচক এ সাংবাদিককে হত্যার সঙ্গে তার হিন্দুত্ববাদ বিরোধী কাজের সম্পর্ক রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে প্রেসক্লাব অব ইনডিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, গৌরি ছিলেন নির্ভীক ও স্বাধীন সাংবাদিক, তিনি নানা বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন ও সব সময় ন্যায় বিচারের পক্ষে দাঁড়াতেন, কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিতেই তাকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত গৌরি কন্নড় ভাষার একটি পাক্ষিক ট্যাবলয়েড পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
এ পত্রিকায় গত বছর, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন গৌরী।
এরপর বিজেপির সংসদ সদস্য প্রহ্লাদ জোশির দায়ের করা এক মানহানির মামলায় সাংবাদিক গৌরিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
একই বছর ভারতীয় ওয়েবসাইট নিউজলন্ড্রিকে নিহত গৌরি বলেছিলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতে যারাই মানবাধিকারের সমর্থনে এবং গুলির করে বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মাওবাদী বলে অপবাদ দেয়া হয়।
এ দুই ইস্যু ছাড়াও হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি এবং বর্ণাশ্রম প্রথার সমালোচনা করায় তাকে হিন্দুদের নিন্দাকারী আখ্যা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন গৌরি।
ভারতে ১৯৯২ সাল থেকে ২৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, যার জন্য জড়িত অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়নি বলে গত বছর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট।
ওই প্রতিবেদনে আরও ২৫ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়, যাদের মৃত্যুর নেপথ্যে তাদের সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট কাজের সম্পর্ক ছিল বলে তদন্ত চলছিল।
সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান
Post a Comment