Header Ads

test

গরুর মাংস খেতে চাইলে স্বদেশে খেয়ে আসুন: ভারতের পর্যটন মন্ত্রী



৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভারতের পর্যটন মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানাম
পর্যটকদের স্বদেশে গরুর মাংস খেয়ে আসার এই পরামর্শ দিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানাম
ভারতের পর্যটন মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানাম ভারত সফরে আসা পর্যটকদের গরুর মাংস খেতে চাইলে নিজ দেশেই তা খেয়ে আসতে বলেছেন।
শুক্রবার ভুবনেশ্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে এই মন্তব্য করেছেন মি. কান্নানথানাম।
ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ টুর অপারেটর্স-এর বার্ষিক সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি।
তাঁকে সেখানেই প্রশ্ন করা হয়, যেভাবে দেশের নানা জায়গায় গোরক্ষার নামে গুন্ডামি চলছে, তার কী প্রভাব পড়তে পারে পর্যটন ও হোটেল শিল্পে।
জবাবে মি. কান্নানথানাম বলেন, "নিজেদের দেশে গরুর মাংস খেয়ে তারপরে ভারতে আসতে হবে।"
মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়েই তিনি অবশ্য মন্তব্য করেছিলেন যে কেরালাবাসীদের খাদ্যাভ্যাসে গরুর মাংস থাকবেই এবং তা খাওয়াও হতে থাকবে।
তা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল এই কারণে, যে বিজেপি-র নেতারা গরুর মাংসের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন, আইন করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে, সেখানে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোমাংসের পক্ষ নিয়ে কেন কথা বললেন।
মঙ্গলবার তাঁর সেই আগের উদ্ধৃতিকে তিনি বানোয়াট বলেও মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তর একটি নির্দেশ জারি করে জবাই করার জন্য গবাদি পশু বিক্রির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
ভারতে পশু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির, কিন্তু পশু উন্নয়ন কেন্দ্রের দায়িত্ব। সেই নিয়মকে কাজে লাগিয়েই কেন্দ্রীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
এর ফলে গরু পরিবহন করা কঠিন হয়ে উঠেছে সারা দেশেই। ব্যবসায়ীদের প্রমাণ করতে হচ্ছে যে জবাই করার জন্য পশু পরিবহন করা হচ্ছে না। তবে সেই সব প্রমাণের অপেক্ষা না করেই অনেক জায়গায় গড়ে ওঠা গো রক্ষক দলের সদস্যরা হামলা চালাচ্ছেন পশু ব্যবসায়ীদের ওপরে। মারধর, বা হত্যার ঘটনাও ঘটছে।
সুপ্রীম কোর্ট একটি নির্দেশ জারি করে বলেছে দেশের প্রতিটা জেলাতেই একজন করে পুলিশ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, যাঁর দায়িত্ব হবে গো রক্ষার নামে এইসব গুন্ডামি বন্ধের ব্যবস্থা করা।
source: http://www.bbc.com/bengali/news-41207143

No comments

Thanks for your valuable comment!