Header Ads

test

ডিজেল ও পেট্রল-চালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করছে চীন

Heavy air pollution above cars driving in Beijing
দূষণ রোধ করতে চীন রাস্তায় বেশি সংখ্যক ইলেকট্রিক কার নামাতে চায়
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার চীন ডিজেল ও পেট্রল-চালিত সব ধরনের গাড়ি ও ভ্যানের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে।
সে দেশের উপ শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক গবেষণাও তারা শুরু করে দিয়েছেন - তবে কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে তা এখনও কিছু স্থির হয়নি।
চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া-কে শিন গুয়োবিন বলেছেন, ''এই পদক্ষেপের ফলে আমাদের দেশের গাড়ি তৈরি শিল্পে নি:সন্দেহে বিরাট পরিবর্তন আসবে।''
গত বছরেও চীন ২ কোটি ৮০ লক্ষ গাড়ি তৈরি করেছে - যা সারা পৃথিবীর মোট গাড়ি উৎপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
দূষণ ও কার্বন এমিশন রোখার চেষ্টায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তারা ২০৪০ সালের মধ্যে সব নতুন ডিজেল ও পেট্রল গাড়ি নিষিদ্ধ করতে চায়।
চীনা মালিকানাধীন গাড়ি োম্পানি ভলভো জুলাই মােই ঘোষণা করেছে, ২০১৯ সাল থেকে তাদের সব নতুন মডেলে একটি বিদ্যুৎচালিত মোটর থাকবে।


ভলভো-র চীনা মালিক সংস্থা গিলি ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লক্ষ ইলেকট্রিক কার বিক্রিরও পরিকল্পনা করেছে।
Volvo car, Shanghai Auto Show
ভলভো ঘোষণা করেছে তারা তাদের সব মডেলে ইলেকট্রিক মোটর বসাবে
রেনোঁ-নিসান, ফোর্ড ও জেনারেল মোটর্সের বিশ্বের প্রথম সারির গাড়ি-নির্মাতারা অনেকেই চীনে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির প্রচেষ্টায় যুক্ত আছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন যে সব বিধিনিষেধ চালু হতে যাচ্ছে, তার আগে আকর্ষণীয় চীনা বাজারের একটা অংশ দখল করার জন্য গাড়ি-নির্মাতারা অনেকেই মরিয়া।
চীন চাইছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের দেশে যত গাড়ি বিক্রি হবে তার এক-পঞ্চমাংই যেন হয় ইলেকট্রিক ব্যাটারি কার বা প্লাগ-ইন হাইব্রিড কার।
চীনা মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, তাদের পরিকল্পনার ফলে অটোমোবিল শিল্পে একটা 'উথালপাথাল' হবে।
চীনেরই পদক্ষেপের ফলে সে দেশে তেলের চাহিদার ওপরেও প্রভাব পড়বে।
এই মুহুর্তে আমেরিকার পরেই দুনিয়ার যে দেশটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তেল ব্যবহার করে - সেটি হল চীন।

No comments

Thanks for your valuable comment!