কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইন হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে আইন করা হচ্ছে। যেসব শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) পরিকল্পনা’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। গাইড ও নোটবই বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রতি আরো গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য বিশ্বমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ভোকেশনাল স্কুল-কলেজগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রধান সমন্বয়ক (এসডিজিএস) আবুল কালাম আজাদ ও স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবিএম আজাদ।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত এই কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেইনিং (টিভিইটি) কার্যক্রমে প্রতিমাসে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে ৮শ’ টাকা হারে এবং ৭৮ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে স্বল্পমেয়াদি হারে ৭শ’ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হয়। সম্প্রতি সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থীকে তিন বছরের ‘স্কলারশিপ’ দিয়ে চীন পাঠানো হয়েছে। ২ হাজার ১৫০ জন শিক্ষককে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুর ও চীনে পাঠানো হয়েছে।
পিডিএসও/তাজ
Source:http://www.protidinersangbad.com/education-premises/86520/কোচিং-বাণিজ্য-বন্ধে-আইন-হচ্ছে--শিক্ষামন্ত্রী
Post a Comment