প্রেসিডেন্টের কুকুর এ কী করল?
তিন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন বিষয়ে বৈঠক করছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে এই বৈঠকে হঠাৎই আজব এক শব্দ শোনা গেল। সেদিকে চোখ পড়তেই মাখোঁ ও তিন প্রতিমন্ত্রী দেখলেন, অলংকৃত ফায়ারপ্লেসের ওপর মূত্র ত্যাগ করছে প্রেসিডেন্টের পোষা কুকুর নিমো।
তিন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ওই বৈঠকটির ভিডিও ধারণ করছিল কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল। তাদের সুবাদে নিমোর কাণ্ড এখন ফ্রান্সজুড়ে সবাই দেখছে।
দুই বছর বয়সী কুচকুচে কালো গ্রিফন জাতের কুকুর নিমোকে গত আগস্ট মাসে দত্তক নেন এমানুয়েল মাখোঁ ও তাঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁ। একটি প্রাণী উদ্ধারকারী কেন্দ্র থেকে কুকুরটিকে পেয়েছিলেন তাঁরা।
বৈঠকের সময় নিমোর কাণ্ড দেখে হেসে ফেলেন বাস্তুসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ব্রুনে পোয়াখসঁ। তিনি বলেন, ‘আমি আরও ভাবছি, শব্দটা কিসের?’ এ সময় বাকি সবার হেসে গড়িয়ে পড়ার অবস্থা হয়। অপর প্রতিমন্ত্রী জুলিয়াঁ দেনখমাঁদি বলেন, ‘ও কি প্রায়ই এমন করে?’ সে সময়ও নিমো থামেনি।
মাখোঁ তাঁদের এই মন্তব্যের জবাবে বলেন, ‘আপনারাই আমার কুকুরকে এমন অশোভন আচরণে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’ এরপর দ্রুতই তাঁরা আলোচনার মূল বিষয়বস্তুতে ফিরে যান।
নিমোই যে প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এমন বিপত্তি ঘটাল, তা কিন্তু নয়। ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাই সারকোজির কুকুর তো মহামূল্য আসবাব, কার্পেট সবই কামড়ে একাকার করে দিয়েছিল। এর ফলে লাখো ইউরো খরচ করে সংস্কারকাজ চালাতে হয়েছিল।
এর আগে আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক তাঁর মাল্টার বংশোদ্ভূত বিকন প্রজাতির পোষা কুকুরটিকে ত্যাগই করতে বাধ্য হন। ২০০৭ সালে সারকোজি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এলিসি প্রাসাদ ছেড়ে যান জ্যাক শিরাক। এরপর শিরাককে পেলেই কামড়াতে যেত ওই কুকুর। এলিসি প্রাসাদে পোষা প্রাণীর ঘরগুলো যথেষ্ট বড়। সে তুলনায় শিরাকের নতুন বাসভবনে কুকুরের ঘরটা ছিল ছোট। ধারণা করা হয়, এ কারণে কুকুরটি হতাশায় ভুগছিল।
Source: www.prothom-alo.com/international/article/1350666/প্রেসিডেন্টের-কুকুর-এ-কী-করল
Post a Comment