Header Ads

test

উ. কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের কঠিন জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র



মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস শনিবার হুঁশিয়ার করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া কখনো তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তাদেরকে কঠিন সামরিক জবাব মোকাবেলা করতে হবে।
সিউল সফরকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাটিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মিত্র দেশের ওপর কোনো হামলা হলে তা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে কোনো ভুল হবে না।’
‘উত্তর কোরিয়া কোনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে সেটির কঠিন সামরিক জবাব দেয়া হবে।’
উত্তর কোরিয়া গত মাসে তাদের ষষ্ঠ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এমন কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করায় কোরীয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগযুদ্ধ চলমান উত্তেজনাকে আরো উস্কে দিচ্ছে।
উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নজিরবিহীন পর্যায়ে!
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নজিরবিহীন, অনিবার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ জন্য ভিন্ন ধরণের সাড়া দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতসেনোরি ওদোনেরা। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া দৃঢ়তার সাথে পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
ফিলিপাইনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সং ইয়ং-মু’র সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সঙ্কট মোকাবেলায় আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের সাথে একযোগে কাজ করতে টোকিও প্রস্তুত বলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ঘোষণা করার পরই এ কথা বলেন ওদোনেরা।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির মোকাবেলায় সব পদ্ধতি ভেবে দেখার মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করতে বাধ্য হচ্ছে জাপান। সব পদ্ধতির মধ্যে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও রয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওদোনেরো আরো বলেন, এ অবস্থায় সুপরিকল্পিত এবং ভিন্ন ধরণের সাড়া দেয়ার পথ জাপানকে বেছে নিতে হবে। অবশ্য ‘ভিন্ন ধরণের সাড়া’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি। (২৪-১০-১৭ প্রকাশিত সংবাদ)
শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা দক্ষিণ কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়া ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে। উত্তর কোরিয়ার সাথে যখন যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে তখন এ পরিকল্পনা করা হলো।
পরিকল্পিত নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হিউনমু-৪ এর আগে নির্মিত অনুরূপ দুই ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পে লোড বা অস্ত্র বহন ক্ষমতা এবং পাল্লাও বাড়ানো হবে।
এর আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানো এবং অস্ত্র বহন সক্ষমতা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
২০১২ সালে সই করা মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী সিউলের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার এবং বোমাবহন সক্ষমতা ৫০০ কেজি করা হয়েছিল। এ দুই ক্ষমতাই এবারে বাড়ানো হলো।
উত্তর কোরিয়ার কথিত উসকানি এবং হুমকির মুখে এ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সিউলে প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল। গত মাসে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

No comments

Thanks for your valuable comment!