Header Ads

test

পোপ ফ্রান্সিস ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন


পোপের সঙ্গে করমর্দনরত কার্ডিনাল পেট্রিক দি’রোজারিও, ১৯ নভেম্বর ২০১৬ সেন্ট পিটার্স চত্বর, ভ্যাটিকান
বিশেষ সাক্ষাৎকার: পেট্রিক ডি’রোজারিও
কার্ডিনাল পেট্রিক ডি’রোজারিওর জন্ম ১৯৪৩ সালে বরিশালের পাদ্রি শিবপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার ক্যাথলিক আর্চবিশপ। গত বছর পোপ তাঁকে কার্ডিনাল পদমর্যাদায় উন্নীত করেন। ইতিহাসে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি মর্যাদাসম্পন্ন পোপ নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান
প্রথম আলো: বিশ্বের এই অঞ্চলে পোপ ফ্রান্সিসের প্রথম সফরকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: প্রথমত, মাত্র ৩১৯ একর আয়তনের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে, জাতির জনকের জাদুঘরে ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
দ্বিতীয়ত রোমান ক্যাথলিক গির্জার মহামহিম ও সর্বজনীন যাজক হিসেবেও তিনি এই সফরে আসছেন। খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়সহ সব মানুষের কাছে তাঁর এই আগমন জনগণের আত্মার প্রতি একধরনের তীর্থযাত্রা বলেও গণ্য হবে। একজন আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে তিনি আসবেন।
প্রথম আলো: মন্ত্রী পদমর্যাদাসম্পন্ন কারা থাকবেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: পোপের প্রতিনিধিদলে রোম থেকে প্রায় ৩০ জন আসবেন। তাঁদের মধ্যে দুজন কার্ডিনাল ও দুজন আর্চবিশপও থাকবেন। বাংলাদেশের ক্যাথলিক গির্জা এশিয়া থেকে কতিপয় কার্ডিনাল, আর্চবিশপ ও বিশপকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাঁরা ১২ থেকে ১৫ জন হবেন বলে আশা করছি। তাঁরা অবশ্য পোপের প্রতিনিধিদলের অন্তর্ভুক্ত নন।
প্রথম আলো: মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস বোকে কি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: আমরা যদিও দুজন বিশপকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা আসতে অপারগতা জানিয়েছেন। কারণ, বাংলাদেশ সফরের ঠিক আগমুহূর্তে পোপ মিয়ানমারে যাবেন। আমরা বুঝতে পারি, এই সময়ে তাঁদের পক্ষে আসা সম্ভব নয়। আমি অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে চার্লস বোকে চিনি। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় পোপ জন পলের ঢাকা সফরকালে তিনি বিশপ-ইলেক্ট হিসেবে এসেছিলেন। স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সফরকালের প্রার্থনাসভায় আমি ঘোষক ছিলাম।
প্রথম আলো: ওই সফরের বিশেষ কোনো মুহূর্ত আপনি স্মরণ করতে পারেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: প্লেন থেকে বেরিয়ে পোপ দ্বিতীয় জন পল বাংলাদেশের মাটি চুম্বন করেছিলেন। আর তিনি উক্তি করেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের আত্মার কাছে একজন তীর্থযাত্রী হিসেবে এসেছি।’ এরশাদ স্টেডিয়ামে (বর্তমানে আর্মি স্টেডিয়াম) সারা দেশ থেকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ৫০ হাজার মানুষ এসেছিলেন। এ ছাড়া সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতিতে তিনি একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছিলেন।
প্রথম আলো: গত ২৮ আগস্ট দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, পোপ ফ্রান্সিসের এবারের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে মাইলফলক সফরটির লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের দুঃখ-কষ্টের ওপর আলোকপাত করা। আপনার মন্তব্য?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: পোপের এই সফর বহু আগে স্থির করা হয়েছে। তখন রোহিঙ্গা ইস্যুর কোনো উল্লেখ ছিল না। আর তাঁর সফরে এ বিষয়টি মূল বিষয় নয়।
প্রথম আলো: কিন্তু এই সময়ে এটাই জ্বলন্ত বিষয়...
পেট্রিক ডি’রোজারিও: গোটা বিশ্ব বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। পোপ অবশ্যই শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলবেন। বাংলাদেশে পোপের সফর আসলে কোনো একটি বিষয়কেন্দ্রিক থাকবে না। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্যাটিকানের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতা লাভের কয়েক মাসের মধ্যে ভ্যাটিকান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে পাশ্চাত্যের সরকারগুলো যখন মার্কিনপক্ষ নিয়েছিল, তখন ভ্যাটিকান কী ভূমিকা রেখেছিল?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: ভ্যাটিকানের অবস্থান সর্বদাই ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামরত নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পক্ষে। কোনো পক্ষকে বাদ বা কারও দিকে ঝুঁকে না পড়ে ভ্যাটিকান কাজ করে। ষষ্ঠ পোপ একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে তাঁর নানসিও, অর্থাৎ বিশেষ দূতকে পাঠিয়েছিলেন। ওই দূত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আবার যুদ্ধ শেষে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে দুজনের একটি টিমকে পাঠিয়েছিলেন। তিয়াত্তরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় ভ্যাটিকানের দূতাবাস খোলা হয়। পোপ ফ্রান্সিস অন্য কোনো কারণে নয়, প্রান্তিক দেশগুলোর প্রতি তাঁর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই আসছেন।
প্রথম আলো: ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করে পোপ ফ্রান্সিস কখন বিবৃতি দিয়েছিলেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: গত নভেম্বরে। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা আমাদের ভাই ও বোন। তাঁদের হত্যার অধিকার কারও নেই। কোনো ব্যক্তিই এভাবে হত্যার শিকারে পরিণত হতে পারেন না।
প্রথম আলো: ভ্যাটিকানের মতে মিয়ানমার রাখাইনে যে নৃশংসতা করেছে, সেটা কী ধরনের অপরাধ? এটা কি জেনোসাইড (গণহত্যা), জাতিগত নির্মূল কিংবা সাধারণ অপরাধ, এই যেমন ধরুন পাইকারি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও বাস্তুচ্যুতি ঘটানো?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: হলি ফাদার এ ক্ষেত্রে পারসিকিউশন বা নির্যাতন কথাটি ব্যবহার করেছেন। তাঁর ভাষায়, রোহিঙ্গাদের যন্ত্রণা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা আমাদের ভাই ও বোন। সর্বত্রই যেখানে মানুষকে কষ্ট দেওয়া হয়, সেখানে দরিদ্র মানুষ বেশি কষ্ট পায়। আর সেখানেই তিনি উঠে দাঁড়ান এবং তাদের পক্ষে সোচ্চার হন।
প্রথম আলো: আপনি মনে করেন যে জেনোসাইড বা এথনিক ক্লিনজিং কথাগুলোর মধ্যে একটা রাজনৈতিক স্বরভঙ্গি আছে। কিন্তু আমরা জানি, জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের কনভেনশন মেনে চলায় তাঁর একটা বাধ্যবাধকতা আছে।
পেট্রিক ডি’রোজারিও: তা ঠিক। কিন্তু আমি যেটা বলতে চাই, সেটা হলো, তিনি মূলত একজন আধ্যাত্মিক নেতা। তাই তিনি নৈতিক ও মানবতার আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের সপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কোনো একটি বিয়োগান্ত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক, জাতিগত, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ইত্যাদি থেকে মানবিক উদ্বেগই প্রাধান্য পাবে।
প্রথম আলো: সে কারণে তিনি সতর্কতার সঙ্গে জেনোসাইডের মতো রাজনৈতিক পরিভাষার ব্যবহার এড়িয়ে চলছেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: এটা ঠিক এড়ানো নয়, তিনি তাঁর নিজস্ব পরিমণ্ডলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন। তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন না। কারণ, তাঁর ভূমিকা হলো অনেকটা বিশ্ববিবেকের মতো। তিনি মানবিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও শান্তির মতো বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন। মানবিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ব্যতিরেকে তাঁর আর কোনো শক্তি রয়েছে বলে তিনি কিন্তু দাবি করেন না।
প্রথম আলো: গত বছরের ২৫ জুন পোপ ফ্রান্সিস আর্মেনিয়া সফর করেন। ওই দিন রয়টার্সের একটি রিপোর্টের সূচনা ছিল এ রকম: একজন পোপ ফ্রান্সিস বিষণ্ন বদনে ‘আমি আমার হৃদয়ে বেদনা’ নিয়ে ১৯১৫ সালে নির্বিচারে হত্যার শিকার হওয়া আর্মেনীয়দের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এবং তিনি এতে তুরস্কের ক্রোধ সৃষ্টির ঝুঁকি নিয়েও ওই হত্যাকাণ্ডকে ‘জেনোসাইড’ বলে মন্তব্য করেছেন। কী বলবেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: আপনি যে নজির টেনেছেন, তা ঘটেছে ১০০ বছর আগে। স্মৃতিসৌধ থেকে দেখা যায়, তৎকালীন পরিভাষা ছিল ভিন্নতর। ওই নির্বিচার হত্যার ঐতিহাসিক পটভূমি বিবেচনায় পোপ হয়তো অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এটা অস্বীকার করার জো নেই যে জেনোসাইডের ঘটনা অশুভ শক্তির কাজ। যা হোক, প্রতিটি ঘটনাকে সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ তার অন্যতম।
প্রথম আলো: পোপের কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উদ্বাস্তুদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, এর মধ্যে রোহিঙ্গা থাকবে না। কেন? সরকার কি কক্সবাজারে যেতে তাঁর প্রতি অনুরোধ করেছিল?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: ভূমিধস, নদীভাঙন ও অন্য বহু কারণে উদ্বাস্তু হতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের কথা আমার জানা নেই। তবে তাঁর সফর খুবই সংক্ষিপ্ত, বয়সের ব্যাপারও আছে।
প্রথম আলো: মিয়ানমারের গির্জাগুলো ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করে না। পোপ পছন্দ করলেও এটা যাতে তিনি আর ব্যবহার না করেন, সে জন্য চার্লস বো কি ভ্যাটিকানকে চিঠি দিয়েছেন?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: প্রতিটি দেশেরই একটি পরিভাষা ব্যবহারের রীতি ও অগ্রাধিকার রয়েছে। সবারই একটা সংবেদনশীলতা থাকে। তবে ঐতিহাসিক ও অন্যান্য কারণে আমরা তাদের রোহিঙ্গা বলতে পারি। পোপ ফ্রান্সিস পছন্দ করেছেন কি করেননি, তা আমি জানি না; তবে জনপ্রিয় ও চলতি ব্যবহারের দিক থেকে তিনি এটা ব্যবহার করছেন। আর ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার না করতে চার্লস বো নিজে চিঠি দেননি। এ রকম একটি চিঠি গেছে। কিন্তু সেটা দিয়েছে মিয়ানমারের বিশপ সম্মেলনী। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমারের এ বিষয়ে কিছু আপত্তি রয়েছে। আসল কথা হলো, রোহিঙ্গারা মানুষ। মানবতা আক্রান্ত হয়েছে। তাই আমাদের অবশ্যই তাদের পক্ষ নিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকার ভালো ভূমিকা রাখছে।
প্রথম আলো: অনেকে কৌতূহলী থাকবেন যে পোপ স্বয়ং যেখানে ‘রোহিঙ্গা’ বলছেন, সেখানে মিয়ানমারের যাজকেরা কীভাবে তা না মান্য করতে পারেন? অং সান সু চির সরকার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার না করতে আপনাদের প্রতিও একই অনুরোধ করেছে।
পেট্রিক ডি’রোজারিও: পোপ কিন্তু কখনোই বলবেন না যে এ বিষয়ে তিনি যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটাই চূড়ান্ত। এটা স্থানীয় গির্জার ওপর নির্ভরশীল। সু চি সরকারের আবেদন তাদের একটি রাজনৈতিক অবস্থান, আমরা কোনো রাজনৈতিক সংঘাতে জড়াতে চাই না।
প্রথম আলো: বর্মি কার্ডিনাল চার্লস বো সম্প্রতি সতর্ক করেন যে সু চিকে বেশি কলঙ্কিত করলে তার উল্টো ফল মিলতে পারে। আপনি তাঁর সঙ্গে একমত?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: আমার মনে হয়, এটা একমত বা একমত না হওয়ার বিষয় নয়। দেশটি দীর্ঘকাল সেনাশাসন দেখেছে। আমাদেরও একই অভিজ্ঞতা। সেখানে গণতন্ত্র আসেনি, সবে শুরু হয়েছে। আমি নৈতিকতার দর্শনকে গুরুত্ব দিই। তাই অখণ্ডভাবে না দেখে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। সদ্‌গুণ সর্বদা মাঝামাঝি অবস্থান করে, এটা চরম মেরুকরণকে এড়িয়ে চলতে পারে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ভ্যাটিকান কী চোখে দেখে? রাষ্ট্রধর্মের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো দ্বন্দ্ব?
পেট্রিক ডি’রোজারিও: বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। একটি নদীর শান্ত তলদেশ ঝড়ের সময় উত্তাল হয়। সাময়িকভাবে আমরা তাই জলোচ্ছ্বাস দেখি। মাঝেমধ্যে যে জঙ্গিবাদের মাথাচাড়া দেওয়া, সেটা তেমনই একটি ঝড়। ধর্মীয় সম্প্রীতির সাংস্কৃতিক পরিচিতির কারণেই বাংলাদেশের জন্ম। অন্যান্য দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে ধর্মের জায়গা না থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে ধর্ম জাগ্রত রয়েছে।
পোপ বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তিনি জানেন, পাঁচ লাখ দুর্গত মানুষকে তারা মনেপ্রাণে বরণ করেছে। এ দেশের মানুষ মানবিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ। তারা সাধারণত সুখী, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নাজুক অবস্থায় আছে। তাঁর লেখা দুটি বই আমরা বাংলায় তরজমা করেছি। এর একটি পরিবেশবিষয়ক, যার মূলমন্ত্র হলো ইন্টিগ্রেশন বা অঙ্গীভূতকরণ। সর্বদা অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ), কখনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত (এক্সক্লুসিভ) নয়।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
পেট্রিক ডি’রোজারিও: ধন্যবাদ।
এই সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত মূল বিবরণ প্রথম আলোর অনলাইন ইংরেজি সংস্করণে en.prothom-alo.com দেখুন।

www.prothom-alo.com/opinion/article/1352056/পোপ-ফ্রান্সিস-‘রোহিঙ্গা’-শব্দটি-ব্যবহার-করেছেন

No comments

Thanks for your valuable comment!