ইউনেসকো থেকে প্রতিবাদে বেরিয়ে এল আমেরিকা
প্যারিসে ইউনেসকোর সদর দফতর |
জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো-তে ইসরায়েল-বিরোধী পক্ষপাত আছে, এই অভিযোগ তুলে ওই সংস্থা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়াতে পালমিরা বা আমেরিকায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মতো বহু স্থানকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ইউনেসকো সারা বিশ্বে পরিচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইউনেসকোতে আর্থিক ঘাটতি যেভাবে বাড়ছে তা নিয়েও তারা চিন্তিত এবং ওই সংস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন।
ইউনেসকোর প্রধান ইরিনা বোকোভা বলেছেন, মার্কিন প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত 'গভীর আক্ষেপের'।
মিস বোকোভা আরও মন্তব্য করেছেন আমেরিকার বিদায় 'জাতিসংঘ পরিবার' তথা বহুপাক্ষিকতার জন্যই বিরাট এক ক্ষতি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্যারিস-ভিত্তিক ইউনেসকো থেকে তাদের প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করে নিয়ে সেই জায়গায় তারা একটি 'পর্যবেক্ষণ মিশন' স্থাপন করবে।
এর আগে ইউনেসকোর নেওয়া একের পর এক সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
২০১১তে ইউনেসকো ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বছর ওই সংস্থায় তাদের যে আর্থিক সহায়তা করার কথা ছিল, তা করেনি।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পাওয়া পশ্চিম তীরের প্রাচীন হেবরন শহর |
গত বছর ইউনেসকো জেরুসালেমের একটি ধর্মীয় স্থান সম্পর্কে একটি বিতর্কিত প্রস্তাব গ্রহণ করে, যাতে ওই পবিত্র স্থানের সঙ্গে ইহুদীদের সম্পর্কের কথা একেবারেই উল্লেখ করা হয়নি।
তার প্রতিবাদে ইসরায়েল ইউনেসকোর সঙ্গে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।
এ বছরের গোড়ায় ইউনেসকো পশ্চিম তীরের প্রাচীন শহর হেবরনকে যেভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করেছিল, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তারও কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
তবে 'ফরেন পলিসি' সাময়িকী বলছে, ইউনেসকো থেকে আমেরিকার প্রত্যাহারের পেছনে শুধু ইসরায়েলকে সমর্থন জানানোই নয়, অর্থ সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যও আছে।
ইউনেসকো এই মুহুর্তে সংস্থার নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত।
ইরিনা বোকোভার জায়গায় সংস্থার প্রধান হিসেবে কে আসবেন, তা নিয়ে কাতার ও ফ্রান্সের দুই সাবেক মন্ত্রী - যথাক্রমে হামাদ বিন আব্দুলাজিজ আল-কাওয়ারি ও অড্রে অজুলে-র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা চলছে।
Source: http://www.bbc.com/bengali/news-41600501
Post a Comment