Header Ads

test

জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত : যা বলছে গুয়াতেমালা

জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প
জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প
নয়া দিগন্ত অনলাইন
২৭ ডিসেম্বর ২০১৭,বুধবার, ১২:৫৬
গুয়াতেমালার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরাইলের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তটি গুয়াতেমালার ‘স্বার্বভৌম’ বিষয়। দেশটির এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্দ্রা জোভেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা গুয়াতেমালার পররাষ্ট্রনীতি ও স্বার্বভৌম সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এই সিদ্ধান্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করবে না বলেই আমার বিশ্বাস।’
গত সপ্তাহে পবিত্র নগরীটিকে ইসরাইলি রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতিকে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোটাভোট হওয়া সত্ত্বেও গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস ইসরাইলে তার দেশের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরাইলের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গুয়াতেলামা যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণকারী প্রথম দেশ।
ট্রাম্পের অনুসরণ জেরুসালেমে দূতাবাস সরাবে গুয়াতেমালা
এএফপি ও রয়টার্স, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস ইসরাইলে তাদের দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুসালেমে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার এক ফেসবুক পোস্টে মোরালেস এ কথা জানিয়েছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ক্ষেত্রে গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস প্রথম নেতা, যিনি এ পবিত্র নগরীর বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানালেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর মোরালেস তার ফেসবুক পাতায় গুয়াতেমালার জনগণের উদ্দেশে লিখেন, গুয়াতেমালার দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে ফিরিয়ে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অন্যতম। বর্তমানে তাদের দূতাবাসটি তেলআবিবে অবস্থিত। মোরালেস লিখেছেন, ‘এ কারণে আমি আপনাদের অবহিত করছি যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি।’
ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুসালেমকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত জাতিসঙ্ঘের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য দেশ প্রত্যাখ্যান করার তিনদিন পর গুয়াতেমালার নেতা ক্রিসমাস-ডে উপলক্ষে এ ঘোষণা দিলেন। জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি থেকে সরে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। যে সাতটি দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল গুয়াতেমালা তার অন্যতম। গুয়াতেমালার প্রতিবেশী দেশ হন্ডুরাসও ওই সাতটি দেশের মধ্যে আছে।
জাতিসঙ্ঘের ওই প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দেবে তাদের দেয়া অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে। মধ্য আমেরিকার দরিদ্র দেশ গুয়াতেমালাকে সহায়তা দানকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মোরালেস আরো বলেছেন, গুয়াতেমালা ইসরাইলের দীর্ঘদিনের মিত্র।
জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বেআইনি ও লজ্জাজনক: ফিলিস্তিন
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান জেরুসালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়ায় গুয়েতেমালার সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গুয়েতেমালা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বেআইনি এবং তা দেশটির জন্য লজ্জাজনক। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বায়তুল মুকাদ্দাসের খ্রিষ্টানদের স্বার্থেরও পরিপন্থী। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবকেও লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
গত রোববার গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোন সংলাপের পর দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি যে, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১২৮টি দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে বাতিলের দাবিতে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ার তিনদিন পর গুয়েতেমালা এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে আমেরিকা ও ইসরাইলসহ নয়টি দেশ ভোট দেয়।
গুয়েতেমালা এই নয়টি দেশের মধ্যে ছিল এবং মধ্য আমেরিকার এ দেশটি প্রধানত মার্কিন অর্থ সাহায্যের ওপর ভর করে চলে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভোটের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছিলেন, যেসব দেশ আমেরিকার বিরুদ্ধে ভোট দেবে তাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সাহায্য বাতিলসহ নানা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments

Thanks for your valuable comment!