বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান বলছেন কোন অপরাধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে ডেকে নিলে আত্মীয়দের জানাতে হবে
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে একটি ভীতির পরিবেশ। |
বাংলাদেশে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও শিক্ষক রয়েছেন।
নিখোঁজদের মধ্যে চারজন ফিরে এলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসানসহ বাকীরা এখনো নিখোঁজ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে একটি ভীতির পরিবেশ।
বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলছেন, "এতগুলো মানুষ এত অল্প সময়ের মধ্য নিখোঁজ হয়ে গেলো। তাদেরকে যেই নিক না কেনো, এতে মানুষের মধ্যে খুব ভীতির সঞ্চার হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার"
কিন্তু সে বিষয়ে কি করছে মানবাধিকার কমিশন?
মি হক বলছেন, "আমরা যখনই খবর পাই যে কেউ গুম হয়েছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে জানাই। যারা তাদের গুম করেছে, সে যেই হোক না কেন তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহবান জানাই"
বাংলাদেশে বেশিরভাগ সময়ে নিখোঁজদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয় যে তাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন তুলে নিয়ে গেছে।
এক মাস আগে নিখোঁজ হয়েছেন ড: মুবাশ্বার হাসান। |
মি হক বলছেন, "যে কয়জন ফিরে এসেছে তারা কেউ মুখ খুলছে না। তাদের কারা নিয়েছিলো সেটার ব্যাপারে আমরাও নিশ্চিত হতে পারছি না। যদি কাউকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন অপরাধে ডেকে নিয়ে থাকে তাহলে তার সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী তাদের আত্মীয় স্বজনদের জানাতে হবে"
তিনি আরো বলেন যে, তাকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কমিশন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাত্র গতকালই বাংলাদেশে সরকারের কঠোর সমালোচক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, তাকে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাবার চেষ্টা হয়েছিল এবং পুলিশ তাকে উদ্ধারের পর তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেবার চেষ্টা করেছে।
তিনি জুলাই মাসে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড: মুবাশ্বার হাসান নিখোঁজ হয়েছেন এক মাস আগে।
তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলছেন তারা ধারণা করতে পারছেন না, কেন মুবাশ্বার হাসান নিখোঁজ হতে পারেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।
http://www.bbc.com/bengali/news-42297680
Post a Comment